বন্দর প্রতিনিধি :
জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার চেয়ারম্যান ও এমপি পত্নী সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, মনসত্বকে পুজি করে ধর্মকে বিশ্বাস করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। কোন প্রকার বাধা বিপত্তিকে মাথায় না রেখে দেশ ও জনকল্যানে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে হবে।মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকবে না। শুধু থাকবে তার কর্মফল।
শুক্রবার ২৬শে ফেব্রুয়ারি বিকেলে নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ডস্থ হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ভাষাবীরদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,আপনি দেশ ও জাতির জন্য কিছু করে গেলে মৃত্যু ‘র পরও মানুষের হৃদয়ে থাকা যায়। ভাষা আন্দোলনে যারা অংশ গ্রহন করেছিলেন তাদের সম্মানে যে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে এটাই তার প্রমান। ভাল কর্ম যুগের পর যুগ তাকে বাচিয়ে রাখে।
তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উন্নত বিশ্বে যেখানে করোনাকালীন সময়ে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুচারু পদক্ষেপে বাংলাদেশে তেমন বেগ পেতে হয়নি। ঘরবন্ধী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌছানোর ব্যবস্থা করেছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব থাকলেই আমি সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকব। আমার নেত্রীর জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন শাহ্, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাদারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান,মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, ইশরাত জাহান খাঁন স্মৃতি, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, ২৬ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনুু,মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু ।
মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধার সঞ্চালনায় ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ বন্দর থানা শাখার সভাপতি মুজাহিদ কবীর মৃধা (পিয়াস)’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, শহিদুল হাসান মৃধা, য়ুবলীগ নেতা ফারুক প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাজু আহম্মেদ সুজন, রমজান মিয়া, আক্তার হোসেন, জিয়াবুল হাসান বাবু, শ্যামল মৃধাসহ ভাষা সৈনিকদের পরিবারের লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
পরিশেষে ৯ জন ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মরন্তর ৮ জন মফিজুল ইসলাম, হাজী আশেক আলী মৃধা, শফিউল্লাহ মৃধা, হাজী মোঃ হাসান, আহসান উল্লাহ মৃধা, ফুলমিয়া চৌধুরী, আলাউদ্দিন, ইউনুস খাঁন। আলহাজ্ব এম এ আসগরসহ ৯জন ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।